বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন

বিএনপিকে সমমনাদের রোডমার্চের প্রস্তাব

বিএনপিকে সমমনাদের রোডমার্চের প্রস্তাব

স্বদেশ ডেস্ক:

যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে বিভিন্ন জোট ও শরিক দলগুলোর সাথে সিরিজ বৈঠক করছে বিএনপি। এ পর্যন্ত হওয়া বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি, দুর্নীতি ও ভারতের সাথে স্বার্থবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদে রোডমার্চ ও লংমার্চসহ নানা কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন দল ও জোট। কোনো কোনো দল আগামী দিনের কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামীকে যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদার করারও পরামর্শ দিয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দুর্নীতি, লুটপাট ও ভারতের সাথে স্বার্থবিরোধী করিডোর চুক্তির প্রতিবাদে আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে রংপুর, পঞ্চগড় অভিমুখে রোডমার্চ বা লংমার্চ করার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে একাধিক দল ও জোট।
গত ১১ জুলাই থেকে আন্দোলনের শরিকদের সাথে বৈঠক করছে বিএনপি। প্রথম দিন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, গণফোরাম ও এনডিএমের সাথে বৈঠক করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এরপর ১২ জুলাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে লিয়জোঁ কমিটি বৈঠক করে সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির সাথে।

গতকাল বৈঠক হয়েছে ভিপি নূরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সাথে। আজ ১৪ জুলাই ১২ দলীয় জোটের সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে ।
এসব বৈঠকে অংশ নেয়া দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী দিনের আন্দোলনের কৌশল নিয়ে বৈঠকে মূলত আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় রোডমার্চ ও লংমার্চের মতো কর্মসূচির প্রস্তাব উঠে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলডিপি চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপির সাথে আন্দোলনের অনেক দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বিভিন্ন দলের মতামত নিচ্ছেন। কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সাথে আমাদের বৈঠক আছে আজ। আমরা আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিবো। পাশাপাশি এর আগেও বিভিন্ন মিটিংয়ে আমি ও আমার জোটের একাধিক নেতা বলেছেন, বিএনপির পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাংগঠনিকভাবে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দুই-একটা দল ছাড়া জামায়াতের বিষয় সবাই ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে। তাই জামায়াতকে যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদার হিসেবে রাজপথে পেতে তাদের সাথে সমন্বয় করা দরকার।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপির সাথে আগামী দিনের সরকার বিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দুর্নীতি, লুটপাট ও ভারতের সাথে স্বার্থবিরোধী করিডোর চুক্তির প্রতিবাদে একটি রোডমার্চ কর্মসূচি করার বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে।

আমরা এ কর্মসূচিতে মতামত দিয়েছি। এ ছাড়া আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ব্যাতিত ডান-বাম-ইসলামী সকল দলগুলোকে একত্র করে আন্দোলন সক্রিয় করার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোডমার্চ ও লংমার্চের মতো কর্মসূচিতে আমরা মতামত দিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছি।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, আন্দোলনের নানা কৌশল ও দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা অতীতের মতো বিরোধীদলগুলোর সাথে সমন্বয়ের পরামর্শ দিয়েছি। সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে যেন কোনো বড় শক্তি আন্দোলনের বাইরে না থাকে সে বিষয় সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। পাশাপাশি সব দলগুলোর সমন্বয়ে একটি সমন্বয় কমিটির বিষয়ও প্রস্তাব দিয়েছি।

নতুন আন্দোলন কর্মসূচির বিষয় জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নয়া দিগন্তকে বলেন, চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে আমরা সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করছি। তাদের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তাব এসেছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

  • ইকবাল মজুমদার তৌহিদ

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877